Advertisement

সিলেটে দি ন্যাশনালিস্ট সার্কেলের আলোচনা সভা

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি- এর সাথে প্রয়োজন নারীর ক্ষমতায়ন, পলিসি-ভিত্তিক বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনৈতিক চর্চা, এবং প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী গড়ে তোলা। আওয়ামী কালচারের পুনরাবৃত্তি রোধ করাও হবে সময়ের দাবি।
শুক্রবার বিকেলে সিলেট নগরীর দরগা গেইটের কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের শহীদ সুলেমান হলে দি ন্যাশনালিস্ট সার্কেল (টিএনসি) আয়োজিত ‘নবজাগরণ, জাতীয়তাবাদ এবং আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান প্রমাণ করেছে- তরুণ প্রজন্ম রাজনীতির পুরনো ধারা আর চায় না। তারা নীতি, স্বচ্ছতা, এবং সবার জন্য সমান সুযোগ চায়। ক্ষমতায় যে-ই আসুক না কেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে; রাজনৈতিক অঙ্গনে দুর্নীতি, দমন-পীড়ন ও দলীয়করণমুক্ত একটি সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তারা আরও বলেন, শুধু দলীয় কর্মীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করলে সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন হবে না। সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য সমান সুযোগ দিতে হবে, নিয়োগপ্রক্রিয়ায় মেধা ও যোগ্যতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। একইসাথে, আধুনিক ও দায়িত্বশীল রাজনীতি গড়তে প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী এবং পলিসি-ভিত্তিক বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনৈতিক চর্চা জরুরি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী বলেন, “নতুন বাংলাদেশে আমরা দেখতে চাই দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, সবার সমান অধিকার এবং বাংলাদেশী পরিচয়ের ঐক্য। ভিন্নমত থাকতে পারে, কিন্তু আমরা সবাই একই জাতিসত্তার অংশ।”
সভাপতিত্ব করেন দি ন্যাশনালিস্ট সার্কেলের প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার রিয়াসাদ আজিম আদনান। প্রধান বক্তা ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. সাজেদুল করিম। মুখ্য আলোচক ছিলেন জবান ম্যাগাজিনের সম্পাদক ও চিন্তক রেজাউল করিম রনি।
অন্যান্য অতিথির মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ ব্যক্তিত্ব ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি ডা. শামীমুর রহমান, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জিয়াউর রহমান চৌধুরী, বিএনপির কৃষি ও ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সহ-সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপির কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য ও সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমান চৌধুরী, এবং সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের এডিশনাল পিপি আব্দুল মুকিত অপি। শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন কৃষকদল নেতা নোমান আহমদ। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে তরুণ প্রজন্ম ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ নবজাগরণ, জাতীয়তাবাদ ও আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন করেন, যার জবাবে অতিথিরা নিজেদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক অবস্থান ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। স্বাগত বক্তব্য দেন টিএনসির পরিচালক নাফিস জোবায়ের চৌধুরী।
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি